ছবি : ফাইল ফটো
জলঢাকায় এই সময়ের মধ্যে সব ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র বহন ও প্রদর্শন, লাঠি বা দেশীয় কোনো অস্ত্র বহন বা প্রদর্শন, যে কোনো ধরনের মাইকিং বা শব্দযন্ত্র ব্যবহার, পাঁচ বা অধিক সংখ্যক ব্যক্তির একত্রে চলাফেরা, সভা সমাবেশ, মিছিল নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, জলঢাকা সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জাতীয়তাবাদী শক্তির ব্যানারে ঈদের দিন বিকেল থেকে পাঁচ দিনের ঈদ আনন্দমেলার আয়োজন করে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আলমগীর হোসেন ও তার সহযোগীরা।
মেলা আয়োজকদের অভিযোগ, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মইনুল ইসলামের নেতৃত্বে মেলা কমিটির আহ্বায়ক ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব আলমগীর হোসেন ও জলঢাকা সরকারি ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক আবু সাঈদ শাকিলসহ মেলা কমিটির অন্যান্য সদস্যদের ওপর হামলা ও মেলায় ভাঙচুর চালানো হয়। এর প্রতিবাদে আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টায় থানার মোড়ে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দেয় মেলা আয়োজক কমিটি।
অপরদিকে জাতীয়তাবাদী শক্তি নাম ব্যবহার করে মেলার নামে চাঁদাবাজি ও অপকর্মের প্রতিবাদে একই সময়ে থানা মোড় সংলগ্ন সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সমাবেশের ডাক দেয় উপজেলা ও পৌর বিএনপি। উভয়পক্ষের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি আহ্বানে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে শহরে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গতকাল সোমবার রাতে শহরে ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন।
বিষয়টি নিয়ে উভয়ে পক্ষই গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি। এ কারণে তাদের কোনো মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
তবে জলঢাকা পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আহমেদ সাঈদ চৌধুরী জানান, জলঢাকা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব আলমগীর হোসেন ও তার অনুসারীরা জাতীয়তাবাদী শক্তির ব্যানারে জলঢাকা সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে পাঁচ দিনের ঈদ আনন্দ মেলার আয়োজন করেন। যা দলের উপজেলা ও জেলার নেতাদেরকে অবহিত না করেই করেছেন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার উভয় পক্ষ পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘোষণা করে। এ অবস্থায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে উপজেলা প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করেছে।
জলঢাকা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরজু মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেন, পরিস্থিতি এখন পর্যন্ত স্বাভাবিক রয়েছে। সংঘর্ষ এড়াতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
মতামত