ছবি : সংগৃহীত
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, গত ৩ মার্চ দুপুরে গাইবান্ধা শহরের পুরাতন বাজারের গ্যাস ব্যবসায়ী আনজু বেগমকে দোকানের ঠিকানা জানতে চেয়ে একটি কাগজ মুখের সামনে দেখান কয়েকজন যুবক। তাৎক্ষণিক কাগজে থাকা মাদকে আসক্ত হয়ে যুবকদের সঙ্গে পাশের একটি ভবনের সিঁড়ির নিচে চলে যান তিনি। পরে নিজের স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা স্বেচ্ছায় যুবকদের হাতে তুলে দেন।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী আনজু বেগম গণমাধ্যমকে বলেন, যুবকরা আমার নাক বরাবর কাগজটি দেখায়। তখন তাদের সঙ্গে কীভাবে যে চলে গেলাম বুঝতে পারিনি। তারা আমার স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা ও মোবাইল চেয়েছে, আর আমিও দিয়ে দিই। কীভাবে যে কী হয়ে গেল, কিছুই বুঝতে পারছিলাম না!
এদিকে অপরাধ চক্রটি এখনো ধরা না পড়ায় ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা। অভিযোগ উঠেছে পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে। তারা বলছেন, একেকজন একেকভাবে আসে। কেউ আসে ছেঁড়া নোট পাল্টাতে, কেউ আসে টাকা ভাঙাতে। এমন নানা অজুহাতে এসে ডেভিলস ব্রেথের মাধ্যমে সবকিছু লুট করে নিচ্ছেন অপরাধীরা।
পুলিশ বলছে, গত দুই মাসে গাইবান্ধায় ডেভিলস ব্রেথ মাদক ব্যবহার করে ছিনতাইয়ের অন্তত ১০টি ঘটনা ঘটেছে। সম্প্রতি এ ধরনের ঘটনায় মামলা হওয়ায় সিসিটিভি ফুটেজ দেখে চক্রটি শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
গাইবান্ধার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শরিফুল আলম বলেন, ‘এ ঘটনায় কাজ চলছে। কয়েকটি মামলা হয়েছে। আমাদের টিম এ বিষয়ে তদন্ত করছে।’
মতামত