ছবি : ঢাকা ইনসাইটস
নরসিংদীতে তুচ্ছ ঘটনায় প্রকাশ্য দিবালোকে চারজন ব্যক্তিকে কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্ত্বরা। তাদের মধ্যে একজনের গলা কেটে দেওয়া হয়েছে। আহত অবস্থায় চারজনকেই নরসিংদী সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আজ সোমবার ঈদের দিন দুপুরে নরসিংদী পৌর শহরের হেমেন্দ্র সাহার মোড়ে শতশত মানুষের চোখের সামনে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে নরসিংদী মডেল থানার পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থল যান। তারা ঘটনাস্থল থেকে একব্যক্তির কাটা পড়া আঙুল উদ্ধার করেন।
আহত ওই চারজন হলেন, শহরের বানিয়াছল এলাকার অটোরিকশা চালক মো. রমজান মিয়া (৪৭), তার ছেলে রিফাত মিয়া (১৮), মোটরসাইকেল চালক মুহিন (১৮) ও সাটিরপাড়া এলাকার ফয়সাল আহমেদ (২২)।
তাদের মধ্যে ফয়সালকে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা করেন দুর্বৃত্তরা।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, আজ দুপুরে হেমেন্দ্র সাহার মোড় এলাকা পার হওয়ার সময় এক মোটরসাইকেলের পেছনে ধাক্কা লেগে যায় একটি অটোরিকশার। এ সময় মোটরসাইকেল আরোহীর সঙ্গে ওই অটোরিকশাচালক রমজান মিয়ার কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনা ঘটে। পরে মোটরসাইকেল আরোহী কল করে একদল দুর্বৃত্ত্বকে ডেকে আনেন। তারা এসেই দা ছুরি ও চাপাতি দিয়ে ওই অটোচালককে এলোপাতারি কোপাতে শুরু করেন। বাধা দিতে গেলে অটোচালকের ছেলে রিফাত, এগিয়ে যাওয়া যুবক মুহিন ও ফয়সালকেও কোপানো হয়। চারজন মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তারা পালিয়ে যান। পরে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নেন।
আহত রিফাত জানান, ঘটনার সময় তিনি বাবার অটো রিকশায় ছিলেন। তারা যাত্রী নিয়ে পৌরসভার সামনে যাচ্ছিলেন। অটোরিকশাটি ওই মোটরসাইকেলের সঙ্গে ধাক্কা লাগলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে এই ঘটনা ঘটিয়েছেন। এ ঘটনায় তাদের বিচার চান তিনি।
নরসিংদী সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কতর্ব্যরত চিকিৎসক সিনিয়র কনসালটেন্ট অসীম কুমার সাহা জানান, শরীরের বিভিন্ন স্থানে মাল্টিপুল ইনজুরি নিয়ে চারজন হাসপাতালে এসেছেন। তাদের মধ্যে ফয়সাল নামে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তার গলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে বড় ক্ষত রয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ৪ জনকেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নরসিংদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক জানান, মোটরসাইকেলে অটোরিকশার ধাক্কার মত তুচ্ছ ঘটনায় ৪ জনকে কোপানোর ঘটনা ঘটেছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে।
মতামত