আন্তর্জাতিক

৩৩৪ পরমাণু বোমার সমান শক্তি নির্গত হয়েছে ভূমিকম্পে!

প্রিন্ট
৩৩৪ পরমাণু বোমার সমান শক্তি নির্গত হয়েছে ভূমিকম্পে!

ছবি : সংগৃহীত


প্রকাশিত : ৩০ মার্চ ২০২৫, দুপুর ১২:২৮

মিয়ানমারের ভূমিকম্প এবং তার পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে সতর্ক করেছেন আমেরিকার ভূবিজ্ঞানী জেস ফিনিক্স। 


মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে একটি সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, মিয়ানমারের ভূমিকম্পের ফলে বিপুল পরিমাণ শক্তি নির্গত হয়েছে। ‘আফটারশক’ (ভূমিকম্পের পরবর্তী কম্পন) চলতে পারে কয়েক মাস পর্যন্ত। 

মাটির নিচে ইউরেশীয় পাতের সঙ্গে ভারতীয় পাতের সংঘর্ষের ফলেই এই ভূমিকম্প হয়েছে বলে জানান তিনি। তার অনুমান, এখনও সংঘর্ষ থামেনি। ফলে ‘আফটারশক’ এখনই থামছে না।

শুক্রবার (২৮ মার্চ) সকালে রিখটার স্কেলে মায়ানমারের কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.৭। তার কয়েক মিনিটের মধ্যে ৬.৭ মাত্রার ‘আফটারশক’ হয়।

এই জোড়া কম্পনেই কার্যত তছনছ হয়ে যায় বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশটি। তার পরের ১০ ঘণ্টায় টানা ১৪টি ‘আফটারশক’-এ কেঁপেছে মিয়ানমার। শনিবারও কয়েক বার মৃদু কম্পন হয়েছে। 

আমেরিকার ভূবিজ্ঞানীর মতে, মিয়ানমারের নিচে ভারতীয় এবং ইউরেশীয় পাতের সংঘর্ষের ফলে অন্তত ৩৩৪টি পরমাণু বোমার সমান শক্তি নির্গত হয়েছে। তার ফলেই এই ভূমিকম্প।

মিয়ানমারের ভূমিকম্পে শনিবার পর্যন্ত ১৬৪৪ জনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছে দেশটির সামরিক জান্তা সরকার। আহতের সংখ্যা সাড়ে তিন হাজারের বেশি। এখনো অনেকের খোঁজ মেলেনি। 

আমেরিকার জিওলজিক্যাল সার্ভের অনুমান, মিয়ানমারে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়ে যেতে পারে ১০ হাজারের গণ্ডি। এই পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন জান্তাপ্রধান আং লাইং। ভারত থেকে ১৫ টন ত্রাণসামগ্রী নিয়ে শনিবারই মিয়ানমারে পৌঁছেছে একটি ত্রাণবাহী বিমান। আরও বিমান মিয়ানমারে পাঠানো হবে।

এদিকে, ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতির পরিপ্রেক্ষিতে জরুরি ভিত্তিতে ওষুধ, ত্রাণসামগ্রী, উদ্ধার ও মেডিকেল সহায়তা প্রদানের জন্য বিশেষ বিমানে রোববার মিয়ানমারে যাচ্ছে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর উদ্ধারকারী দল।

তবে গৃহযুদ্ধের কারণে সেখানে উদ্ধারকাজে সমস্যা হচ্ছে। মিয়ানমারের বিস্তীর্ণ অংশ জান্তা-বিরোধীদের নিয়ন্ত্রণে। সেই সব এলাকায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও এখনো স্পষ্ট নয়। জান্তা-বিরোধী পিডিএফ জানিয়েছে, উদ্ধারকাজে গতি আনার জন্য শনিবার থেকে দু’সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা হবে।

মিয়ানমারের কম্পনের ফলে কেঁপেছে প্রতিবেশী থাইল্যান্ডও। সেখানকার রাজধানী ব্যাঙ্ককে ভূমিকম্পের ফলে একটি ৩০তলার ভবন ভেঙে পড়েছে। 

সেই ধ্বংসস্তূপে বহু শ্রমিক আটা পড়ে আছেন। এখন পর্যন্ত ১০ জনের মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করেছে ব্যাঙ্কক প্রশাসন। নিখোঁজ ৭০-এর বেশি।