ছবি : প্রতীকী ছবি
জেনে রাখা ভালো ডায়াবেটিস কখনও পুরোপুরি ভালো হয় না। কিন্তু এ রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। তাই প্রত্যেক ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্যতালিকা পৃথক হবে। বয়স, ওজন ও উচ্চতা, কাজের ধরন, কায়িক শ্রমের পরিমাণ, জীবনযাপন পদ্ধতি, আর্থিক অবস্থা সবকিছু বিবেচনায় এনে এ তালিকা করা হয়। ডায়াবেটিস হলেই সব খাওয়া নিষেধ, তা নয়। তবে খাদ্য বাছাইয়ে সতর্ক ও সুশৃঙ্খল হতে হবে।
আসুন জেনে নিই আরও যেসব খাবার এড়িয়ে চলবেন-
১. শরীর বৃদ্ধির জন্য প্রোটিন খুবই উপকারী। তবে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য গরুর মাংস, ভেড়াসহ উচ্চ প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার ক্ষতির কারণ হতে পারে। এসব না খেয়ে শিম, বাদাম থেকে প্রোটিন গ্রহণ করা যেতে পারে।
২. দুগ্ধজাতীয় খাবারে রয়েছে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন। কিন্তু ফুল-ফ্যাট ডেইরি পণ্য গ্লুকোজ লেভেল বাড়িয়ে হৃদরোগের ঝুঁকিও তৈরি করে।
৩. আলুতে রয়েছে উচ্চমাত্রায় শ্বেতসার ও গ্লাইসেমিক উপাদান। আর গ্লাইসেমিক উপাদান ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়। ডায়াবেটিস রোগীদের আলু না খাওয়াই ভালো।
৪. ভুট্টায় রয়েছে ভিটামিন, মিনারেল ও খাদ্য আঁশ। তবে এটি বেশি পরিমাণে খেলে গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে।
৫. উচ্চ প্রক্রিয়াজাত সাদা আটা দ্রুত শক্তি জোগালেও অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাতকরণের ফলে পুষ্টি উপাদান কমে যায়। যদি আপনার ডায়াবেটিস থাকে। তবে সাদা আটা এড়িয়ে চলাই ভালো। এ ছাড়া সাদা শস্য, যেমন সাদা রুটি ও সাদা পাস্তায় রয়েছে উচ্চমাত্রায় শ্বেতসার। যদিও সব শস্যেই শ্বেতসার রয়েছে। তবু সাদা শস্যে পরিমাণ বেশি। যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে।
৬. অনেক এনার্জি ড্রিংকসে উচ্চমাত্রায় কৃত্রিম মিষ্টিজাতীয় দ্রব্য ও ক্যাফেইন থাকে। যা খাওয়ার পর দীর্ঘ সময় ইনসুলিনের মাত্রা বাড়তি থাকতে পারে। তাই ডায়াবেটিসের ঝুঁকি এড়াতে এনার্জি ড্রিংকস পান না করাই ভালো।
৭. কিশমিশসহ শুকনো বেরি উচ্চমাত্রায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ এবং স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। তবে এতে প্রাকৃতিক চিনি ও উচ্চ ক্যালোরিও রয়েছে। যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ক্ষতিকর। এ ছাড়া ফলের জুস গ্লুকোজের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে।
মতামত