ছবি : সংগৃহীত
পরিবারের সদস্যরা জানান, জানুয়ারি মাসে তোফান নিখোঁজ হলে আত্মীয়স্বজনের বাড়িসহ বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করা হয়। কিন্তু কোথাও তার সন্ধান না পেয়ে বাবা আবু সাঈদ আলমডাঙ্গা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এর এক মাস পর গাইবান্ধায় ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাতপরিচয় এক কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করে রেলওয়ে পুলিশ। তোফানের পরিবার মরদেহটি তাদের ছেলের বলে শনাক্ত করে এবং গ্রামে এনে দাফন সম্পন্ন করে।
দাফনের দেড় মাস পর শুক্রবার (২৮ মার্চ) তোফান সুস্থ শরীরে বাড়ি ফিরে আসে। এতে পরিবার ও স্থানীয়দের মধ্যে আনন্দের পাশাপাশি বিস্ময়ের সৃষ্টি হয়। দাফন করা মরদেহটি আসলে কার, সেই প্রশ্ন ঘিরে এলাকাবাসীর মধ্যে কৌতূহল দেখা দিয়েছে।
তোফানের বাবা আবু সাঈদ বলেন, "আমরা ভেবেছিলাম অন্তত ছেলের মরদেহ পেয়েছি। কিন্তু সে যে বেঁচে আছে, তা কল্পনাও করিনি। ও ফিরে আসায় আমরা আনন্দে আত্মহারা।"
তোফানের মা কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, "আবার ছেলের মুখে ‘মা’ ডাক শুনছি। কখনো ভাবিনি আমার সোনামানিক ফিরে আসবে। আল্লাহর কাছে হাজারো শুকরিয়া।"
তোফান জানান, "বাবা-মায়ের ওপর অভিমান করে ঢাকায় এক বন্ধুর সঙ্গে চলে যাই। শ্যামলীর একটি লোহার দোকানে কাজ করছিলাম। ঈদের ছুটিতে বাড়ি ফিরেছি, এসে শুনি আমি নাকি মারা গেছি!"
আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদুর রহমান বলেন, "বিষয়টি আমরা জানতে পেরেছি। তবে এটি গাইবান্ধা থানা পুলিশের বিষয়। আমরা তাদের অবহিত করব এবং দেশের বিভিন্ন থানায় নিখোঁজ সংক্রান্ত তথ্য পাঠানো হবে।"
মতামত