সারাদেশ

ঘোড়াশালে বিসিআইসির সড়ক নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ

প্রিন্ট
ঘোড়াশালে বিসিআইসির সড়ক নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ

ছবি : ঢাকা ইনসাইটস


প্রকাশিত : ১৮ মার্চ ২০২৫, বিকাল ৩:০১

নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল পলাশ ফার্টিলাইজার প্রকল্পের একটি সড়ক তৈরিতে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সড়কটিতে নিন্মমানের মালামাল ব্যবহার করায় এলাকাবাসি ক্ষিপ্ত হয়ে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়। একপর্যায়ে এলাকাবাসির তোপের মুখে কাজ রেখে পালিয়ে যায় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। 

জানা যায়, পলাশ খানেপুর গ্রামে ঘোড়াশাল পলাশ ইউরিয়া সারকার খানার পাশ দিয়ে একটি আরসিসি সড়ক নির্মাণ করছে বিসিআইসি। সড়কের পাশে পথচারিদের চলাচলের জন্য নির্মাণাধীন ফুটপাতে সুন্দর্য্য বৃদ্ধি করতে দেওয়া হয় রোড টালি। এসব টালি লাগাতে ব্যবহার হওয়ার কথা ছিল সিমেন্ট ও বাঁলি। তবে এখানে হয়েছে এর ব্যাতিক্রম। সিমেন্টের বদলে দেওয়া হয়েছে শুধু বাঁলি। আর এসব বাঁলি ব্যবহার করার কারণে টালি লাগানোর একদিন পরই তা নষ্ট হয়ে খুলে যাচ্ছে। পরে ঠিকাদারের এমন অনিয়ম দেখে প্রতিবাদ জানায় এলাকাবাসি। একপর্যায়ে কাজ ফেলেই চলে যায় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। এলাকাবাসি জানায়, সড়কটি বিসিআইসির আওতাধীন হলেও উপজেলার খানেপুর, বালিয়া ও কাঠালিয়া এলাকার তিনটি গ্রামের মানুষদের যাতায়াতের একমাত্র সড়ক এটি। দীর্ঘদিন ধরে এসব গ্রামে মানুষদের দাবি ছিল সড়টি নির্মাণের। অবশেষে সড়কটি নির্মাণ হলেও এতে নিন্মমানের কাজের কারণে এর দীর্ঘায়ত্ব নিয়ে শংঙ্কা প্রকাশ করছেন এলাকাবাসি। তারা জানায়, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান সড়কটিতে মালামাল ব্যবহারে অনেক অনিয়ম করছে। যেখানে ভাল মানের রড সিমেন্ট ব্যবহার করার কথা তা করছে না। এছাড়া সড়কের ফুটপাতে যে টালি ব্যবহার করা হচ্ছে তা লাগাতে কোন সিমেন্ট ব্যবহার করছে না। যার কারণে লাগানোর পরই তা খুলে পড়ে যাচ্ছে। সড়কটি নির্মাণে কোন অনিয়ম যেন না হয় তার দাবি জানান এলাকাবাসি। 

ঘোড়াশাল পলাশ ফার্টিলাইজার প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, বিসিআইসির আওয়াধীন পলাশ বিএডিসি বাসস্যান্ড থেকে খানেপুর বটতলা পর্যন্ত ৪ হাজার ৯০০ ফিট দৈর্ঘ্যের সড়কটির নির্মাণ ব্যয় ধরা হয় ১৮ কোটি টাকা। যেটির নির্মাণ কাজের দায়িত্ব পায় তমা কনস্ট্রাকশন এন্ড কোম্পানি লিমিটেড নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি এরই মধ্যে আরসিসি সড়ক কাজ সম্পন্ন করে পাশে পথচারিদের যাতায়াতে ফুটপাত নির্মাণ করছে। তবে এই কাজে ভুল হওয়ার কথা স্বীকার করেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সাইট ইঞ্জিনিয়ার তাইজুল ইসলাম। তিনি বলেন, এখানে আমাদের কিছু ভূল হয়েছে। তাই পুণরায় আবার করে দেওয়া হবে। 

এদিকে নিন্মমানের কাজের বিষয়ে জানতে চাইলে ঘোড়াশাল পলাশ ফার্টিলাইজার প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক সাইদুর রহমান এ বিষয়ে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কোন কথা বলতে রাজি হয়নি।