ছবি : সংগৃহীত
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) রাত সাড়ে ১১টায় উপজেলার কাঁচপুর পুরান বাজার রায়েরটেক গ্রামের এ ঘটনা ঘটেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কাঁচপুরের পুরান বাজার এলাকার ইছাক মুন্সির ভাড়াটিয়া বাড়িতে গার্মেন্টস কর্মী নুরুজ্জামান তার স্ত্রী ও শিশু কন্যাকে নিয়ে সপরিবার বসবাস করেন।
একই বাড়ির ভাড়াটিয়া অভিযুক্ত মনসুর আলীও। শিশুটির বাবা-বা উভয় গার্মেন্টসে চাকরির সুবাদে বাচ্চাকে পাশের বাসার এক নারীর কাছে রেখে যান।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার সময় বাড়ির উঠানে বাচ্চাটি খেলাধুলা করার সময় তাকে একা পেয়ে খাবারের প্রলোভন দেখিয়ে কৌশলে এক রুমে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেন মনসুর আলী। এমতাবস্থায় ওই বাড়ির অন্যান্য ভাড়াটিয়ারা দেখে ফেলায় বাচ্চাটি রক্ষা পান। পরবর্তীতে শিশুর বাবা-মা কর্মস্থল থেকে বাড়ি ফিরে এমন খবর জানতে পেরে এলাকাবাসীকে বিষয়টি জানান। একপর্যায়ে এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে অভিযুক্তকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশ সোপর্দ করে।
অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন সোনারগাঁ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সামরুল হোসেন।
তিনি বলেন, বাচ্চার বাবা-মা চাকরি থেকে ফিরে আসার পর তাদের কাছে বিষয়টি বাচ্চা জানিয়েছেন। পরে বাবা-মা অভিযুক্তকে জিজ্ঞেস করলে সে বিকেলে বাচ্চাটিকে ঝাপটে ধরার চেষ্টা করেছিল বলে তাদের কাছে স্বীকারোক্তিও দিয়েছে। বাচ্চাটির পারিবারিকের কাছে তার ভাষ্য ছিল শয়তানে তাকে এ কাজ করিয়েছে। এ যাত্রায় তাকে ক্ষমা করে দিতে। পরবর্তীতে বাচ্চার পরিবার এই ঘটনা সম্পর্কে ওই বাড়ির মালিকসহ স্থানীয় বাসিন্দাদের জানালে তারা গণধোলাই দিয়ে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেন। তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টার মামলা প্রক্রিয়াধীন।
মতামত